হার্টের জন্মগত ত্রুটি: কারণ, উপসর্গ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

হার্টের জন্মগত ত্রুটি: কারণ, উপসর্গ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

জন্মগত হৃদরোগ বা হৃদপিন্ডের জন্মগত ত্রুটি বোঝায় যা হার্টের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। প্রতি হাজারে ৬ জন শিশুর এই ত্রুটিগুলি জন্ম থেকেই উপস্থিত থাকতে পারে এবং এই ত্রুটি গুলো জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। জন্মগত ত্রুটি সাধারণত আন্তঃ অলিন্দ(ASD) বা আন্তঃ নিলয় (VSD)পর্দায় ছিদ্র, টেট্রলজি অফ ফ্যালট(TOF) অথবা ধমনী সমূহের সমস্যা।

 

কারণঃ জন্মগত হৃদরোগ জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণে হতে পারে। পরিবেশগত যেমন মায়েদের সংক্রমণ, গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকারক পদার্থের সংস্পর্শে আসা বা মায়ের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে।

 

উপসর্গ: জন্মগত হৃদরোগের লক্ষণগুলি বিভিন্ন ভাবে প্রকাশিত হতে পারে, এটি ত্রুটির তীব্রতা এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে। কিছু শিশু সায়ানোসিস (ত্বক, ঠোঁট এবং নখের নীলচে ভাব), শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, লক্ষণগুলি শৈশব বা এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট নাও হতে পারে।

 

চিকিৎসাঃ জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। এর চিকিৎসা প্রধানত অপারেশনের মাধ্যমে করা হয়। এছাড়া কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে ঔষধের মাধ্যমে রোগের প্রকোপ কমিয়ে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। কিছু কিছু রোগে ডিভাইসের মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যায়। নিয়মিত ফলো-আপ, নির্ধারিত চিকিৎসা মেনে চলা, এবং একটি হৃদরোগ-স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অবস্থা পরিচালনা এবং জটিলতা প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য।

 

প্রতিরোধঃ জন্মগত হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং হস্তক্ষেপ প্রচার করা প্রভাবিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের জন্য জীবনের মান উন্নত করতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে, আক্রান্ত অনেক মানুষ সুস্থ ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।

Leave a Comment